বুধবার, ১৯ ফেব্রুয়ারী ২০২৫

কম সময়ে দীর্ঘদিনের জটিলতা নিরসন করে দু`ভাইকে নামজারী করে দিলেন লোহাগাড়ার এসিল্যান্ড

প্রকাশিত : ৬:৪৩ অপরাহ্ন বুধবার, ১৯ ফেব্রুয়ারী ২০২৫

 

নিজস্ব প্রতিবেদকঃ

আবদুল গণি ও আবদুল মজিদ আপন ভাই। তারা দুজনে গরীব। তাদের বাড়ি লোহাগাড়া উপজেলার পুটিবিলা ইউনিয়নের ৭নং ওয়ার্ডস্থ গৌড়স্থান নিচার বর পাড়ায়। তাদের একটা মেয়ে কে বিয়ে দেওয়ার জন্য ২৬ গন্ডা জায়গা বিক্রী করতে চাই। কিন্তু জায়গায় নামজারী ক্লিয়ার নেই। জায়গাটি নামজারী করার জন্য দীর্ঘ ৪ মাস ধরে কষ্ট পাচ্ছে।তারা অশিক্ষিত হওয়ায় মুন্সির মাধ্যমে ভুল দাগ ও খতিয়ান নিয়ে নামজারি আবেদন করেছিল। অনেক দালালও ধরেছে। কাজের কাজ হয়নি। তাহের মুন্সীকে টাকা দিয়েছে। তাও কোন কাজ হয়নি।

তারা দু`ভাই সরাসরি লোহাগাড়া উপজেলা সহকারী কমিশনার(ভূমি) মোহাম্মদ শাহজাহানের সাথে যোগাযোগ করে। তাদের কথাও শুনেন মনোযোগে।
উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) দ্রুত তার কর্মচারীদের কে নামজারী করে দেওয়ার জন্য নির্দেশনা প্রদান করেন। তাদেরকে আজ দুপুরে নামজারী খতিয়ানের কপি বুঝিয়ে দেন
তাও বিনামুল্যে।

তারা দু`ভাই মহাখুশী। দীর্ঘদিনের জটিলতা নিরসনে নামজারী ব্যবস্থা করে দেওয়ায় লোহাগাড়া উপজেলা সহকারী কমিশনার(ভূমি) মোহাম্মদ শাহজাহানকে ধন্যবাদ জানান ভুক্তভোগী দু`ভাই।

আবদুল গণি ও আবদুল মজিদ জানান,আমি এত সহজেই নামজারী খতিয়ান পাবো ভাবিনি। আমরা তাহের মুন্সীকে টাকা দিয়েছে কিন্তু কাজের কাজ হয়নি। এসিল্যান্ড স্যার কোন টাকা ছাড়াই আমাদের নামজারী খতিয়ান করে দিয়েছে।

উপজেলা সহকারী কমিশনার(ভূমি) মোহাম্মদ শাহজাহান জানান, আসলে আমরা চাকরি করতে এসেছি সাধারণ মানুষকে সেবা দিতে।আবদুল মজিদ ও আবদুল গনি তারা আপন দু`ভাই। ৪/৫ মাস ধরে নামজারী খতিয়ানের জন্য দালালের কাছে যান। তাদের ভাষ্যনুযায়ী পরে তাহের মুন্সীর কাছে যান। তারা তাকে নামজারী করে দেওয়ার নামে ঘুরিয়েছে অনেকদিন।তারা অশিক্ষিত হওয়ায় মুন্সির মাধ্যমে ভুল দাগ ও খতিয়ান নিয়ে নামজারি আবেদন করেছিল।
পরে আমার অফিসে তারা দু`ভাই আসলে কথা বলি। সবকিছু আমাকে বলে। আমি তাদেরকে বলেছি আমার অফিস সবার জন্য উন্মুক্ত। তার প্রয়োজনীয় কাগজপত্র দেখে সরকার নির্ধারিত ফি দিয়ে দ্রুত নামজারী করে দেওয়ার ব্যবস্থা করে দিয়েছি। ভূমি অফিসে কোন দালাল বা মাধ্যম দরকার নেই। নামজারী করে দেওয়ার নামে টাকা নিলে কাউকে ছাড় দিবোনা।তাহের মুন্সীর বিরুদ্ধে সুনিদিষ্ঠ ভাবে টাকা দিয়েছে প্রমাণ পেলে সেটাও আরা দেখবো।নিজের কাজ ও সেবা নিজে গ্রহণ করলে এ ধরণের ভোগান্তি থেকে পরিত্রাণ মিলবে।তাই
সবাই ভূমি অফিসে আসুন সেবা গ্রহণ করুন।

আরো পড়ুন