রবিবার, ০৯ ফেব্রুয়ারী ২০২৫

ইউএনও মেধাবী ছাত্র-ছাত্রী এ্যাওয়ার্ড প্রতিযোগিতার পরীক্ষা তিন ইউনিয়নে ১হাজার শিক্ষার্থীর অংশগ্রহণ

প্রকাশিত : ১:৫০ পূর্বাহ্ন রবিবার, ০৯ ফেব্রুয়ারী ২০২৫

 

নিজস্ব প্রতিবেদকঃ 

প্রকৃত মেধাবীদেরকে মূল্যায়ন করা এবং ২০২৩ সালের এসএসসি পরীক্ষার্থীদের সার্বিক প্রস্তুতিতে সহায়তা করার লক্ষ্যে ইউএনও শরীফ উল্যাহ’র উদ্যোগে আয়োজিত ইউএনও মেধাবী ছাত্র-ছাত্রী এ্যাওয়ার্ড ২০২২ প্রতিযোগিতার ১ম পর্বের পরীক্ষায় আজ ০৩ ডিসেম্বর ইউনিয়ন পর্যায়ে শেষ ধাপে চরম্বা, কলাউজান ও পুটিবিলা ইউনিয়নে প্রায় ১০০০ শিক্ষার্থী অংশগ্রহণ করে। সুষ্ঠু, সুন্দর ও উৎসবমুখর পরিবেশে এই পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হয়। চরম্বা ইউনিয়নের পরীক্ষা কেন্দ্র চরম্বা উচ্চ বিদ্যালয়, কলাউজান ইউনিয়নের পরীক্ষা কেন্দ্র কলাউজান ডাঃ এয়াকুব বজলুর রহমান সিকদার উচ্চ বিদ্যালয় কেন্দ্র ও পুটিবিলা ইউনিয়নের পরীক্ষা কেন্দ্র পুটিবিলা উচ্চ বিদ্যালয় কেন্দ্রে তিনটি ভিন্ন ভিন্ন সময়ে আজ এই পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হয়। তিন ইউনিয়নের ১৬ টি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের ১০ম শ্রেণির প্রায় ১০০০ শিক্ষার্থী এই পরীক্ষায় স্বতঃস্ফূর্তভাবে অংশগ্রহণ করে। এর আগে গত ১৯ নভেম্বর লোহাগাড়া, আমিরাবাদ ও পদুয়া, ২৬ নভেম্বর বড়হাতিয়া, আধুনগর ও চুনতি ইউনিয়নে এই পরীক্ষা সম্পন্ন হয়। উপজেলার ৯ টি ইউনিয়নের প্রায় ৩৮০০ শিক্ষার্থী (এসএসসি পরীক্ষার্থী ২০২৩) অংশগ্রহণ করে। ১ম পর্বের খাতা মূল্যায়ন শেষে ৯টি ইউনিয়নের উত্তীর্ণ শিক্ষার্থীদের জন্য আগামী ১০ ডিসেম্বর শনিবার দুপুর ১২:০০ টায় লোহাগাড়া শাহপীর পাইলট উচ্চ বিদ্যালয় (উপজেলার সকল স্কুল ও মাদ্রাসার জন্য) কেন্দ্রে ২য় পর্বের পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হবে।

জানা যায়, আজ অনুষ্ঠিত পরীক্ষায় বাংলা, ইংরেজি, গণিত, সাধারণ জ্ঞান ও আইসিটি বিষয়ে মোট ৫০ নম্বরের এমসিকিউ পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হয়।

এই প্রতিযোগিতায় অংশগ্রহণকারী কয়েকজন শিক্ষার্থী তাৎক্ষণিক প্রতিক্রিয়ায় জানান, স্যারের এই উদ্যোগটি সত্যিই অসাধারণ ও প্রশংসনীয়। আমরা খুব উপভোগ করেছি। আমাদের এসএসসি পরীক্ষাকে সামনে রেখে এই ধরনের একটি প্রতিযোগিতা আমাদের জন্য খুবই উপকারী হবে বলে আমরা বিশ্বাস করি।

এ বিষয়ে কয়েকজন শিক্ষা প্রতিষ্ঠান প্রধান জানান, এই উদ্যোগটি সত্যিই ব্যতিক্রমী ও প্রশংসনীয়। এসএসসি পরীক্ষার্থীদের জন্য এমন আয়োজন তাদের প্রস্তুতির ক্ষেত্রে অনেক বেশি সহায়ক হবে বলে আমরা বিশ্বাস করি। তারা আত্মবিশ্বাসী হয়ে উঠবে এবং ভবিষ্যতে ভালো করার একটা দিক-নির্দেশনা এই জাতীয় পরীক্ষার মাধ্যমে তারা পাচ্ছে। তাছাড়া এই প্রতিযোগিতায় প্রকৃত মেধাবীরা চূড়ান্তভাবে মূল্যায়িত হবে। স্যারকে এই ব্যতিক্রমী উদ্যোগের জন্য অশেষ ধন্যবাদ।

ইউএনও শরীফ উল্যাহ জানান, বর্তমান সময়ে বেশিরভাগ শিক্ষার্থী বিভিন্ন কারণে পড়াশুনায় ঠিকভাবে মনোনিবেশ করছে না। তদুপরি করোনার কারণে শিক্ষা ক্ষেত্রে একটি বড় ধরনের প্রভাব পড়েছে। শিক্ষার্থীদেরকে পড়াশুনায় মনোযোগী করতে এবং তাদেরকে বইমুখী করতেই গ্রহণ করেছি। এতে করে এসএসসি পরীক্ষার জন্য তাদের প্রস্তুতি ভালো এবং তরান্বিত হবে। এছাড়া এর মাধ্যমে ভবিষ্যতে যে কোনো কঠিন প্রতিযোগিতার জন্যও তারা আত্মবিশ্বাসী ও সাহসী হয়ে উঠবে বলে আমি বিশ্বাস করি। আজ শিক্ষার্থীরা স্বতঃস্ফূর্তভাবে প্রতিযোগিতায় অংশগ্রহণ করায় তাদেরকে অশেষ ধন্যবাদ জানাচ্ছি। আমাদের শিক্ষকবৃন্দও এই পরীক্ষাকে কেন্দ্র করে আমাকে বিশেষ সহযোগিতা ও অক্লান্ত পরিশ্রম করেছেন। তাদের প্রতিও আমি কৃতজ্ঞ।

আরো পড়ুন